চার বছরের শিশুকে গলাটিপে হত্যা

এ ঘটনায় কদমতলী থানা পুলিশ সন্দেহভাজন দুই যুবককে আটক করেছে। কী কারণে অবুঝ এই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে পুলিশ ও পরিবারের সদস্যরা সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি। তবে পুলিশের প্রাথমিক ধারণা আটক হওয়া হাসিব এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যাহত রয়েছে।
শিশুটির বাবা রেজাউল করিম বলেন, তার কোনো শত্রু নেই। কেন তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে কোনো ধারণাই করতে পারছেন না তিনি। দক্ষিণ মাতুয়ালের ৩ নম্বর গলির বাশারের ৫ম তলা বাড়ির ৩য় তলায় দুই সন্তান রুহি ও সিনাল (১ বছর ৪ মাস) ও স্ত্রী সানজিদা পারভীনকে নিয়ে ভাড়া থাকেন তিনি। তিনি মাতুয়াল হাসপাতালের ক্যান্টিনের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত।
কদমতলী থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, স্বজনরা শিশুটিকে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে ওই পরিত্যক্ত টিনের ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে মাতুয়াল শিশু মাতৃসদন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওসি বলেন, শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার পর জানালার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
শিশুটির বাবা রেজাউল করিম জানান, রুহি মাতুয়ালের আইসিএমস স্কুলে প্লে-গ্রুপের ছাত্রী। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সে স্কুল থেকে বাসায় ফেরে। শিশুটি তার মা সানজিদাকে না জানিয়ে দুপুর ১২টার দিকে নিচে খেলতে চলে যায়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সানজিদা তাকে (রেজাউল) ফোনে জানান, তাদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সানজিদা বাসা থেকে নিচে নেমে প্রতিবেশীদের সহায়তায় আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। দুপুর একটার দিকে পাশেই টিনশেডের ঘরের মধ্যে গিয়ে শিশুটিকে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। হত্যার আগে শিশুটি যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কিনা সেটাও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন চিকিত্সক। মাতুয়াল হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও মেয়েটির চাচা ডা. মান্নান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি।